ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: জুবায়ের মনিরের জামিন বাতিলে আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২০
মানবতাবিরোধী অপরাধ: জুবায়ের মনিরের জামিন বাতিলে আবেদন ...

ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শর্ত ভঙ্গের কারণে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার দৌলতপুরের মোহাম্মদ জুবায়ের মনিরের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (০৫ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।

গ্রেফতার হওয়া এই আসমিকে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অসুস্থতার কারণে কয়েকটি শর্তে জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সেই শর্ত ভঙ্গ করে ঈদের সময় ঢাকার বাইরে সুনামগঞ্জের হাওরে নৌকায় ভ্রমণ করছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রসিকিউশন পক্ষ তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে।

২০১৯ সালের ১৭ জুন জুবায়ের মনিরসহ সুনামগঞ্জের ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. হান্নান খান জানিয়েছিলেন, ১১ আসামির মধ্যে ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি ৫ জন পলাতক।

গ্রেফতার ছয়জন হলেন—সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার দৌলতপুরের মোহাম্মদ জুবায়ের মনির (৬২), একই থানার ঘুংগিয়ারগাঁও এলাকার মো. জাকির হোসেন (৬২), শশারকান্দা এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমান (৬১), উজানগাঁও এলাকার মো. তোতা মিয়া টেইলার (৮১), একই জেলার দিরাই থানার শ্যামারচর পশ্চিম দৌলতপুর এলাকার মো. আব্দুল জলিল (৭১) এবং মো. আব্দুর রশিদ (৬০)।

এদের মধ্যে মনির, সিদ্দিকুর, তোতা মিয়া ও রশিদ বিএনপির সমর্থক। জাকির শাল্লা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জলিল আগে বিএনপির সমর্থক হলেও এখন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

পলাতক ৫ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১২ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু হয়। আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অপহরণ, ধর্ষণ, গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের মোট ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হত্যা, বীরাঙ্গনা ৫ জন, আনুমানিক ৩০ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ৩১ জনকে অপহরণ ও ১৪ জনকে নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে।

পরে জুবায়ের মনিরকে অসুস্থতার কারণে ৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি শর্তে অন্তবর্তী জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে জামিনের শর্ত ছিল ঢাকার (বাড়ি নম্বর-১০২১, রোড নম্বর ১৭/১, বায়তুল আমান হাউজিং, আদাবর, মোহাম্মদপুর) এই ঠিকানায় অবস্থান করবেন। না জানিয়ে শহরের বাইরে যাওয়া যাবে না। পাসপোর্ট ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে হবে। কোন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা যাবে না।

কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে জুবায়ের মনির ওইসব শর্ত ভঙ্গ করে ঈদে গ্রামের বাড়িতে কোরবানি দেন এবং দল-বল নিয়ে প্রকাশ্যে হাওরে নৌকায় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী, সাক্ষীরা। তারা বিষয়টি প্রসিকিউশন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।