ঢাকা: দেশের মধ্যে ও দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান সব নদ-নদীকে আইনি ব্যক্তি, আইনি সত্তা ও জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর রায় প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তুরাগ নদ সংক্রান্ত ২০১৬ সালের রিটে জারি করা রুলের ওপর গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
পরে এর বিরুদ্ধে আপিলের পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আপিল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আপিল বিভাগ।
পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার মনজিল মোরসেদ জানান, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে, যার কপি হাতে পেয়েছি। রায়ে বলা হয়, পরিবেশ রক্ষার জন্য তুরাগ বা অন্য যে কোনো নদী, জলাশয়ের জায়গা বা এর ফোরশোর এলাকা কোনো অবস্থাতেই লিজ বা বিক্রি করা যাবে না। সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
রায়ে ৪ নম্বর নির্দেশনা ‘দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের নীতিকে আইনের অংশ ঘোষণা করা’ কে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ নম্বর নির্দেশনা ‘নদী দখলকে ফৌজদারি আপরাধ ঘোষণা’, ১৪ নম্বর নির্দেশনা ‘নদী দখলদারদের ব্যাংক লোন বন্ধ’, ১৫ নম্বর নির্দেশনা নদী দখলদারদের ‘নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা’ সম্পর্কে হাইকের্টের রায় সংশোধন করে উক্ত তিনটি নির্দেশনা সাজেশন/মতামত হিসেবে বলা হয়েছে। উক্ত নির্দেশনা সংশোধনের কারণ হিসেবে রায়ে আপিল বিভাগ উল্লেখ করেছেন যে, আইন প্রণয়ন করা সম্পূর্ণ জাতীয় সংসদের এখতিয়ার, আদালত সংসদকে আইন করতে নির্দেশ দিতে পারেন না, তবে কোনো আইন সংবিধান পরিপন্থি হলে তা বাতিল করতে পারেন।
আদালত রায়ে আরও বলেন যে, তবে কোনো আইন সংশোধনের জন্য আদালত মতামত দিতে পারেন।
সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ১৭ নম্বর নির্দেশনায় টেলিভিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতারাং, ১০-১৩ ও ১৬ নম্বর নির্দেশনার প্রয়োজন নেই বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
ইএস/এএ