ঢাকা: মহামারি করোনাকালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া (ভার্চ্যুয়াল) এবং শারীরিক উপস্থিতিতে হাইকোর্টে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বুধবার (১২ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব বেঞ্চে দুই পদ্ধতিতে বিচার কাজ চলবে।
সোমবার (১০ আগস্ট) এ বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ প্রশাসন শাখা।
ভার্চ্যুয়াল আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া আগামী ১২ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ এবং অত্র কোর্টের জারি করা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন।
এতে দ্বৈত এবং একক ৩৫টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী ১২ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন।
এতে দ্বৈত এবং একক ১৮টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট দুই পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলবে বলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
মহামারি করোনাকালে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর সঙ্গে মিল রেখে আদলতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হয়।
এরমধ্যে অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ শুরু হয়। ওই অধ্যাদেশটিকে পরে আইনে পরিণত করা হয়।
সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এদিকে, গত ৩০ জুলাই অধস্তন আদালতে ৫ আগস্ট থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সে অনুসারে অধস্তন আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
ইএস/টিএ