ঢাকা: মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে বদলির তদবির করা একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
ওই ব্যক্তির নাম শাহিনুল ইসলাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনুল জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট। ২০০৮ সালে র্যাব-১২ থেকে অবসর নেন।
মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে শাহিনুলকে সোমবার (১০ আগস্ট) গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতারক শাহিনুল ইসলাম গত ১৬ জুন শিক্ষা অধিদপ্তরে গিয়ে নিজেকে ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে বদলির তদবির করেন। সেখানে একটি চিরকুটও উপস্থাপন করেন তিনি।
এরপর তদবির করতে রাজি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালককে (প্রশাসন) বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে কল করে জোরাজুরি করতেন। এতে প্রশাসন তাকে এসব তদবির নিয়ে ফোন দিতে না করেন।
এরপরও গত ১০ আগস্ট এই প্রতারক একই তদবির নিয়ে আবারও পরিচালকের (প্রশাসন) অফিসে যান এবং নিজেকে ডিজিএফআই পরিচয় দেন। এতে অধিদপ্তরের পরিচালক তার আইডিকার্ড দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।
তিনি বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, শাহিনুল ইসলাম নামে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক পদে কেউ নেই। পরে তাকে ওই অধিদপ্তর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে বদলির তদবিরের চিরকুট, জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি স্যামসাং মোবাইল সেট, বদলি সংক্রান্ত আবেদনপত্র জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অন্যের রূপ ধারণ করে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
কেআই/এএটি