ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৫ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
৫ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া থানার পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।  

বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার হারুন মিয়া বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা নম্বর সি আর (৮৯/২০)।

আদালত আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদনটি দাখিলের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান, এসআই হুমায়ুন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খোরশেদ এবং  কনস্টেবল প্রশান্ত ও সৈকত।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম (চিকুনী বেগম) ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার যোগসাজশে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। হারুন প্রতিবেশী চিকুনীর মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে চিকুনী ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের হারুনের পেছনে লাগিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মে গভীর রাতে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য নাটকীয়ভাবে চিকুনীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার প্ররোচনায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে তল্লাশি নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এ সময় ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য। এছাড়া তারা ঘরের আসবাবপত্র ওলট-পালট করে নাজেহাল করেন।  

পরে ভোর ৪টার দিকে পুনরায় ওই পুলিশ সদস্যরা এসে হারুন ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মাদক মামলা ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ভয় দেখিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তা না হলে তাদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন। ওই সময় প্রাণ রক্ষার্থে তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রফা দফা হলে হারুন ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি ওপরের অফিসারদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন তারা।

এ বিষয়ে মামলার বাদী হারুন মিয়া বলেন, অভিযুক্তরা আমাকে বিভিন্ন সময় ক্রসফায়রের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন। তাদের কারণে আজ আমি বাড়ি ছাড়া। আমি ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে অভিযোগ দিয়েছি।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনও পযর্ন্ত আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।