ঢাকা: করোনাকালীন সময়ে ইংরেজি মাধ্যম মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ, ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস বঞ্চিত না করাসহ নানাবিধ সমস্যাবলীর সমাধান চেয়ে করা আবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এক অভিভাবকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন।
তিনি জানান, ‘করোনাকালীন সময়ে ইংরেজি মাধ্যম মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ, ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস বঞ্চিত না করাসহ নানাবিধ সমস্যাবলীর সমাধানকল্পে হস্তক্ষেপ কামনা প্রসঙ্গে’ প্যারেন্টস ফোরাম অব মাস্টারমাইন্ড স্কুল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান বরাবরে ১৯ জুলাই একটি আবেদন করা হয়।
ওই আবেদনে বলা হয়, গত ১ জুলাই স্কুল কর্তৃপক্ষ বরাবরে ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছিলো। এক. করোনাকালীন ৫০ শতাংশ ফি মওকুফ, দুই. উন্নতমানের অনলাইন ক্লাসের নিশ্চয়তা, তিন. ক্লাসগুলোর ভিডিও আপলোড করা, চার. যাদের বকেয়া আছে তাদের কিস্তি আকারে সুযোগ এবং তাদের সন্তানদের অনলাইন ক্লাস করতে দেওয়া।
অদ্যবধি সে আবেদনে কোনো প্রতিউত্তর না দিয়ে ফি পরিশোধে বারবার নোটিশ দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এসব দাবিসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ কামনা এবং বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সুযোগ দিতে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সাইফুজ্জামান তুহিন জানান, বোর্ড এ আবেদনটি নিষ্পত্তি করেনি। এ কারণে অভিভাবকদের পক্ষে মাসুদ খান এ রিট আবেদন করেন। আদালত ১৯ জুলাইয়ের করা আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে দুই সপ্তাহ সময় বেধে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
ইএস/ওএইচ/