ঢাকা: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় পার্বতীপুরের বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ ও মিন তারিন সাথী নামে এক তরুণীকে হত্যা মামলার আসামি নূর মোস্তফা সুমন লাবুর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আকতার রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মো.বশির উল্লাহ।
২০১৭ সলের ২৯ নভেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার জসিম বাজার দোলাপাড়া মহল্লার একটি ভাড়া বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন সরকারপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে মামনুর রশিদ (৩৫) ও একই উপজেলা শহরের পোড়াভিটা গ্রামের মহেবুল ইসলামের মেয়ে সাথীকে (২৭) হত্যা করা হয়। এরা দু’জনেই মামাতো ও ফুফাতো ভাই-বোন।
এছাড়া মামনুর রশীদ পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেল ব্যবসায়ী। আর সাথী রংপুরের একটি কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর-২২)।
পরে এ ঘটনায় একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার চৌমুহনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন সৈয়দপুরের পুরাতন পোড়ারহার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ওইদিন সন্ধ্যায় নীলফামারীর তৎকালীন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ২৯ নভেম্বর সৈয়দপুরের জসিম বাজার এলাকায় সাথী আরাসহ দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ তারই সাবেক কর্মচারী শিবলি সাদিকের ভাড়া বাসায় খুন হন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতার সুমন জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ওইদিন সকালে প্রথমে সাথী আরাকে ও পরে বিএনপি নেতাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ জোড়া হত্যাকাণ্ডে মাদক সেবন করে অংশ নেন ভাড়াটিয়া শিবলি সাদিক (৪০) ও তার ভাই সাগর (৩২)। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি সৈয়দপুরের একটি বাজার থেকে কেনা হয় বলেও জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২০
ইএস/এএ