ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

২৩ বছর আগে কন্যাসহ স্ত্রী খুন: আপিলে খালাস খুলনার জাহিদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
২৩ বছর আগে কন্যাসহ স্ত্রী খুন: আপিলে খালাস খুলনার জাহিদ

ঢাকা: ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে দেড় বছরের কন্যাসহ স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ শেখকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
 
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) তার আপিল মঞ্জুর (অ্যালাউ) করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী সারওয়ার আহমেদ।
 
১৯৯৭ সালের ১৬ জানুয়ারি জাহিদ শেখ এর শ্বশুর বাগেরহাটের ফকির হাট থানার উত্তর পাড়ার ময়েন উদ্দিন থানায় এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহার মতে, ময়েন উদ্দিনের মেয়ে রহিমার সঙ্গে ঘটনার তিন বছর আগে খুলনার রূপসা থানার নারিকেলি চাঁদপুরের ইলিয়াছ শেখের ছেলে জাহিদ শেখের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জাহিদ ঘরজামাই থাকতো।

পরে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। নাম রেশমা খাতুন।

ঘটনার তিন মাস আগে রহিমা তার জামাই এবং বাচ্চাসহ বাবার বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে একটি পাকা ঘরে বসবাস শুরু করে।
 
১৯৯৭ সালের ১৬ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী আনজিরা বেগম মেয়ের বাড়িতে গেলে দেখেন দরজা বন্ধ ও তালা খোলা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখেন খাটের ওপর কাঁথা ও লেপের নিচে বাচ্চাসহ রহিমাকে শোয়া। কাঁথা সরানোর পর মৃত অবস্থায় তাদের গলায় মাফলারের গিট দেওয়া দেখতে পান আনজিরা বেগম।  

তখন কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী লোকজন দৌড়ে আসেন। এদিকে সকাল নয়টার সময় জাহিদকে টেম্পু করে খুলনার দিকে অনেকে যেতে দেখেন।

ময়েন উদ্দিনের সন্দেহ হয় জাহিদ শেখ তার মেয়ে ও নাতনিকে রাতের যে কোনো সময় হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।

২০০০ সালে এ মামলায় বিচারিক আদালত জাহিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০০৪ সালে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। পরে কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জাহিদ শেখ আপিল করেন। শুনানি শেষে মঙ্গলবার তার আপিল মঞ্জুর করা হয়।

এ রায়ের ফলে জাহিদ অন্তত ২০ বছর পর মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।