ঢাকা: ২০০৭ সালে উত্তরার একটি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইনজামুল হক হত্যা মামলায় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে দুজনের যাবজ্জীবন এবং একজনকে দশ বছরের দণ্ড দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ফরিদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর টঙ্গীর আউচপাড়া মোক্তারবাড়ি সড়ক এলাকার সফিউদ্দিন মোল্লার ছেলে উত্তরার সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইনজামুল হক নিখোঁজ হয়।
পরে দুর্বৃত্তরা ইনজামুলের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ইনজামুলের ভগ্নিপতি মোবারক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে টঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক কয়েকজনকে আটক করে। পরে আটকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঘটনার ১০ দিন পর পুলিশ ও র্যাব ওই এলাকার পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় ইনজামুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক টঙ্গীর আউচপাড়ার ইউসুফ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম হোসেন সুমন (২৫), একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে নাহিদ ইসলাম নাহিদ (২৮) ও হাজী মো. মোতালেব হোসেনের ছেলে মো. সাহেব আলীকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া একই এলাকার মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. হান্নানকে (২৮) ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা আপিল করেন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট ইব্রাহিম হোসেন সুমন ও মো. সাহেব আলীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নাহিদ ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছর সাজা দেন। এছাড়া পলাতক আসামি মো. হান্নানের ৭ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন বলে জানিয়েছেন মো. বশির উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
ইএস/এমজেএফ