ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিশোর জুয়েল হত্যায় চার তরুণের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
কিশোর জুয়েল হত্যায় চার তরুণের কারাদণ্ড

ঢাকা: দেড় দশক আগের ফরিদপুরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী মো. জুয়েল (১৬) হত্যা মামলায় চার তরুণকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার জুভেনাইল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন।

আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মাহবুবুর রহমান বাবু, মেহেদী হাসান রনি, তৌফিক জাহান জনি, ইকবাল হোসেন মোল্লা রাজু। এদের মধ্যে রনি পলাতক। রায়ে পাঁচজন খালাস পেয়েছেন।

ঘটনার সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও বর্তমানে তাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হওয়ায় তাদের কারাগারেই সাজা খাটতে হবে বলে জানান তিনি।

এই মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক তিনজন আসামি ছিলেন, যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে কয়েক বছর আগে। এই আসামিরা শিশু হওয়ায় ১৯৭৪ সালের শিশু আইনের ৫২ ধারায় তাদের বিচার হয়।

মামলাটি আলাদা করে আবারও বিচার শুরু হয়। এ সময় পুরো বিচার প্রক্রিয়া নতুন করে হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২০ সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১১ জনের সাক্ষ্য নেন। মূল মামলা থেকে আলাদা করে বিচার হওয়ায় তা শেষ হতে এই বিলম্ব বলে জানান, ওই আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকার এক নম্বর সড়কের বাবুলের বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠিসোটা-হকিস্টিক পিটিয়ে জুয়েলকে হত্যা করা হয়।

জুয়েলের বড় ভাই মো. মিলন মিয়া এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কোতয়ালী থানায়। দ্রুত বিচারের জন্য ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ও শিশু আদালত থেকে ২০০৬ সালে ঢাকায় মামলার নথিপত্র স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
কেআই/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।