ঢাকা: পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্নাকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় নাঈম নামে এক মাইক্রোবাসচালক কারাগারে আছেন। একই ঘটনায় এবার আরেক মাইক্রোবাসের চালক এস এম দারুস সালাম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিলেন।
পুলিশ বলছে, রিমান্ড শেষে নাঈম ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। সিসিটিভি ফুটেজে নাঈমের গাড়ি ও দারুস সালামের গাড়ি পাশাপাশি দেখা গেছে। তাই তাকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে চালক এস এম দারুস সালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় একটি টয়োটা মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। গাড়িটির মালিকও তিনি। পরদিন দারুস সালামকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
রিমান্ড শেষ রোববার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক আলী। এ সময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক৷
এ সময় চালক দারুস সালামের আইনজীবী ইমরুল হাসান তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার (৩১ আগস্ট) দিন ধার্য করেন।
একই ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট মোহাম্মদ নাঈম নামে এক চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন নাঈমের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ আগস্ট রিমান্ড শেষে নাঈমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাঈম বর্তমানে কারাগারে।
গত ৭ আগস্ট রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রত্মার দুলাভাই মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
কেআই/এসআই