ঢাকা: বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষ্য দেন শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা এ মামলার বাদী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ডিএডি সাইফুল ইসলাম।
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। এ মামলায় ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ এর একটি দল দুই সহযোগীসহ পাপিয়া ও তার স্বামীকে আটক করে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, যুবলীগের এ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচ তারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দু’টি মামলা হয়।
তিনটি মামলায় এ দু’জনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
কেআই/এসআই