ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড ছবি: প্রতীকী

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে যৌতুকের জন্য তাছলিমা আক্তার (২১) নামে এক  গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামী ও শ্বশুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- নিহত ওই নারীর স্বামী জহিরুল ইসলাম (২৫) ও তার শ্বশুর মজনু মিয়া (৫৫)।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।  

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার তছলিম উদ্দিন তার মেয়ে তাছলিমা আক্তারকে (২১) একই উপজেলার মজনু মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই তাছলিমাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।  

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর তাছলিমাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার বাবা তছলিমকে মোবাইল ফোনে জানায় জহিরুল ইসলাম। পরে ওইদিনই তছলিম উদ্দিন তার মেয়েকে না পাওয়ায় ভুঞাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন ২৯ নভেম্বর উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারের পশ্চিম পাশে যমুনা নদীর পার থেকে তাছলিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

একই বছরের ১ ডিসেম্বর তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জহিরুল ইসলাম ও মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীকালে তারা জামিনে মুক্ত হন।  

সোমবার তাদের আদালতে হাজির থাকার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত হননি। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাসিমুল আক্তার নাসিম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান নাজিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।