ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে মন্নুজান সুফিয়ানের করা মামলা স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে মন্নুজান সুফিয়ানের করা মামলা স্থগিত

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইয়ের সম্পাদক অধ্যাপক, গবেষক মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের করা মানহানির মামলার কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মুনতাসীর মামুনের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার একে রাশেদুল হক।

তিনি জানান, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইটি প্রকাশ করা হয়।

এ বইয়ের লেখক মো. আবুবকর সিদ্দিকীর ‘মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর: একটি সমীক্ষা’ শিরোনামের প্রবন্ধে শান্তি কমিটির সদস্যদের নামের তালিকায় ৩৬ নম্বর ক্রমিকে উঠে আসে মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবা ‘মৃত মোসলেম বাওয়ালী’র নাম।

এ বিষয়ে জানতে ২০১৮ সালের ১ জুলাই বইটির সম্পাদক মুনতাসীর মামুনের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান মন্নুজান সুফিয়ান। পরে নোটিশের জবাব দেন মুনতাসীর মামুন।

একই বছরের ১৯ জুলাই ফের মুনতাসীর মামুনকে উকিল নোটিশ পাঠান মন্নুজান সুফিয়ান। নোটিশে এ তথ্য প্রকাশের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয় এবং লেখক আবুবকর সিদ্দিকীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু মুনতাসীর মামুন এ বিষয়ে রাজি হননি।

পরে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

একই বছরের ২২ জুলাই তামাদি আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে মামলাটি বাতিল চেয়ে জজ আদালতে আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন। কিন্তু চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত।

এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্টে রিভিশন করেন মুনতাসীর মামুন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি বাতিল চেয়ে বিচারিক আদালতে মুনতাসীর মামুনের আবেদন খারিজ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে বলে জানান রাশেদুল হক।
রাশেদুল হক আরও বলেন, আমাদের যুক্তি ছিল, তামাদি আইন অনুসারে মানহানির ক্ষতিপূরণের জন্য মানহানিকর তথ্য প্রকাশের এক বছরের মধ্যে মামলা করতে হয়। অথচ ওই তথ্য প্রকাশের ১৪ বছরে এসে মামলা হয়েছে। আর বইয়ে মন্নুজান সুফিয়ানের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। সেখানে মৃত ব্যক্তির হয়ে তিনি মামলা করতে পারেন কিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।