ঢাকা: বর্তমানে কতগুলো হাসপাতাল কোভিড ও নন-কোভিড হিসেবে আছে এবং বেসরকারি হাসপাতালের কতটির লাইসেন্স আছে, কতটির লাইসেন্স নেই তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ ২ সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানাতে হবে।
মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইশরাত হাসানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এ রিট দাখিল করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
তিনি জানান, দেশে বর্তমানে কতগুলো হাসপাতাল কোভিড এবং নন-কোভিড হিসেবে আছে, বেসরকারি হাসপাতালের কতগুলোর লাইসেন্স আছে, কতগুলোর লাইসেন্স নেই, স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত যদি কেনো অনিয়মের ঘটনা ঘটে এ বিষয়ে সাধারণ জনগণ কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পারবে কিনা এ বিষয়গুলো রাষ্ট্রপক্ষের কাছে আদালত জানতে চেয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য আছে। সেদিন এ তথ্যগুলো উপস্থাপন করবো।
এ রিট আবেদনে লাইসেন্সবিহীন হাসপতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম পরিচলনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতলে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসার অবহেলায় প্রত্যেক ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ দিতে এবং গাইডলাইন তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আবেদনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য যথাযথ লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলোর নাম, সংখ্যা, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ওয়েসাইটে প্রকাশ, বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কিংবা অবৈধ ফি আরোপের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পদ্ধতি স্থাপন, অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রকাশ, যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা টেস্ট করানো হয় সেগুলোর তালিকা প্রকাশ, করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার হাসপাতালগুলো মনিটরিংয়ে প্রত্যেক জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন, রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ, রিজেন্টের প্রতারণার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক রোগী থেকে নেওয়া ফি ক্ষতিপূরণসহ (২৫ হাজার টাকা করে) ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৯ জুলাই বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এই আইনজীবী। স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে গত ৬ জুলাই রাতে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান শাখায় অভিযান পরিচালনা করে। পরদিন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত ৭ জুলাই সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালের শাখা দু’টির (উত্তরা ও মিরপুর) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশের কথা বলা হয়। ওইদিন বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব।
পরে গ্রেফতারের পর গত ১৬ জুলাই সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
ইএস/এএ