ঢাকা: শেরে বাংলানগর থানার অস্ত্র মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী র্যাবের ডিএডি শফিকুল ইসলাম।
এ নিয়ে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ সাক্ষীর মধ্যে দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় ধারাবাহিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। আগামী বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রেফতারের সময় থাকা সঙ্গীয় ফোর্সের সদস্যরা সাক্ষ্য দেবেন।
গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সেই থেকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ হলো।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে গ্রেফতার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দু’টি মামলা হয়।
তিনটি মামলায় এ দু’জনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
কেআই/আরবি/