ঢাকা: বিদেশফেরত সেই ৮৩ বাংলাদেশিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৮৩ বাংলাদেশিকে ১৪ দিন কারাগারের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে কারাগারের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকবেন। কারা চিকিৎসকরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দেখিয়ে গ্রেফতার করে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তুরাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মক্তাকিন বাংলানিউজকে বলেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বিদেশফেরত ৮৩ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮১ জন ভিয়েতনাম ফেরত। দুইজন কাতার ফেরত। তারা ওই দু’দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার ৮৩ জনের মধ্যে দু’জন কাতার ফেরত। বাকিরা সবাই ভিয়েতনাম ফেরত।
তারা সেখানে কোনো অপরাধে জড়ানোয় জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশিকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
গত ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এরমধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
** বিদেশফেরত সেই ৮৩ বাংলাদেশি কারাগারে
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
এজেডএস/ওএইচ/