ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আদালতের ফাইল ছবি

ঢাকা: সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য গত ৩০ এপ্রিল সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) করা সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সুপারিশ বঞ্চিত ৫১ জন প্রার্থীর করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ চার সপ্তাহের এ রুল জারি করেন।

এছাড়াও রুলে আবেদনকারী ৫১ জনকে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা সামশাদ।

ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার বলেন, চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে পরীক্ষা শেষে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয় ১১ হাজার ৩৫৭ জন। এরপর সংশ্লিষ্টদের সনদ যাচাই শেষে ২০১৮ সালের ১১ জুন এক হাজার ১৭ জনের ফল বাতিল করে নোটিশ দেয় পিএসসি। ফলে চূড়ান্তভাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয় ১০ হাজার ৩শ’ ৪০ জনকে।

পরবর্তীতে এদের মধ্যে মেধা তালিকা অনুসারে ৫ হাজার একশ জনকে নিয়োগ দিতে পিএসসি ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট সরকারকে সুপারিশ করে। এই সুপারিশ অনুযায়ী সরকার তাদের নিয়োগ দেয়।

এরমধ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতে সরকার ৬ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য পিএসসির কাছে চাহিদাপত্র দেয়। এর আলোকে ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য গত ৩০ এপ্রিল সরকারের কাছে সুপারিশ করে পিএসসি।

মে মাসে সরকার তাদের সকলকে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে  এমন ৫ জন আছেন যাদের আবেদনপত্র  ২০১৮ সালের ১১ জুন বাতিল করেছিল পিএসসি। এ অবস্থায় ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে নিয়োগ বঞ্চিত ৫১ জন রিট আবেদন করেন বলে জানান বিভূতি তরফদার।

তিনি বলেন, আমাদের যুক্ত ছিলো— পদ খালি আছে, তারপরও ৫১ প্রার্থীকে সুপারিশ করেনি। এছাড়া বাতিল করা ৫ জনকে সুপারিশ করেছে। এসব বিষয় নিয়ে বঞ্চিতরা রিট করেছেন। আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।