ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০
পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে  পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন

ঢাকা: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী ম‌ফিজুর রহমান ওর‌ফে সুমন চৌধুরী‌র বিরুদ্ধে শে‌রে বাংলানগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।  

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ মামলায় তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

এদিন সাক্ষ্য দেন পুলিশ পরিদর্শক শাইরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুধাশন সরকার ও তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের এসআই আরিফুজ্জামান। এর মধ্যে আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি। তার অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১২ জন সাক্ষীরই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।  

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য গত ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সেই থেকে রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ কার্যদিবস এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হলো।  

গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এসআই আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।  

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী ম‌ফিজুরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।

প‌রে ২৩ ফেব্রুয়া‌রি তা‌দের বিরু‌দ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধা‌রের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়া‌রি শে‌রে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও ‌বি‌শেষ ক্ষমতা আই‌নের দু’‌টি মামলা হয়।  

তিন‌টি মামলায় এ দু’জন‌কে কয়েক দফায় রিমা‌ন্ডে নি‌য়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
কেআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।