ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষায় সকল শিক্ষা বোর্ডের মূল্যায়নকৃত উত্তরপত্র কিনে ভিক্ষুকদের দিয়ে ঠোঙা তৈরি করতে চায় পথশিশু কল্যাণ ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন। এ জন্য তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছে।
তবে সেই চিঠির নিষ্পত্তি না করায় সংগঠনটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচরপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে ওই চিঠি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
২৫ আগস্ট পথ শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের দেওয়া ‘ভিক্ষুক পুর্নবাসনে ঠোঙা বানানোর কাজে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষকদের নামে বরাদ্দকৃত মূল্যায়নকৃত উত্তরপত্র সংরক্ষণের মেয়াদ শেষে শিক্ষা বোর্ড/জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত মূল্যে খরিদ প্রসঙ্গ’ শীর্ষক ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘পথ শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের অনুরোধ হচ্ছে, সাবজেক্ট এর প্রধান শিক্ষকের নামে বরাদ্দকৃত উত্তেরপত্রের মূল্যবাবদ টাকা শিক্ষাবোর্ডকে অগ্রিম পরিশোধ করবে। উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও সংরক্ষণের মেয়াদ শেষে বোর্ড কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্তির পত্র নিয়ে প্রধান পরীক্ষকের নিটক থাকা উত্তরপত্র পথশিশু কল্যাণ ট্রাস্ট নিজ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নস্থানের ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে সরবরাহ করবে। এ প্রক্রিয়ায় বোর্ডের রাজস্ব আয় অগ্রিম হবে। ’
কিন্তু এতে সাড়া না পেয়ে তারা হাইকোর্টে রিট করেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অর্পণ চক্রবর্তী এবং শুভ্রজিত ব্যানার্জি। পরে আইনজীবী অর্পণ চক্রবর্তী জানান, মূল্যায়নকৃত উত্তরপত্রগুলো ঠোঙা বানানোর কাজে ব্যবহার করে সেই ঠোঙা বিক্রি করে পথ শিশুদের কল্যাণে কাজ করতে চায় সংগঠনটি। আদালত এক মাসের মধ্যে পথশিশু কল্যাণ ট্রাস্টের ওই আবেদন নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
ইএস/এমজেএফ