ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান জামিনে মুক্ত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান জামিনে মুক্ত  মিনহাজ মান্নান ইমন

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারের চার মাস পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার জামিন মঞ্জুর করেন।

 

জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে সোমবারই তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পান। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

গত ৫ মে র‌্যাব-৩, সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মিনহাজসহ ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আরও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলায় গত ৬ মে মিনহাজ মান্নানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ওইদিন রাতেই তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করে। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, মিনহাজ মান্নান হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এক অভিযুক্তের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যাটিং করেছেন।  

মিনহাজ মান্নান ছাড়াও র‌্যাবের দায়ের করা এ মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মুশতাক এ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সালেহ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছে। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন এবং আসামি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজসে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন ধ‌রে পরিচালনা করছে।

আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা ভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
কেআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।