ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানা হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনিকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন পুলিশের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সংক্ষুব্ধ আসামিপক্ষ। আসামিদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান তাদের আইনজীবীরা।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, আসামিরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বপালন করছিলেন। জনি হৃদরোগে মারা গেছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে। এখানে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা আশা করেছিলাম আসামিরা খালাস পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আসামিরা ন্যায়বিচার পাননি। আমরা আসামিদের সঙ্গে আলোচনা করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
এই মামলার তিন আসামি পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টুকে এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই তিন আসামির প্রত্যেককে ভুক্তভোগী পরিবারকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করে আপিল করতে হবে বলেও আদালত রায়ে বলেছেন।
এই মামলায় পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় দেন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ২০১৩ সালের ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন বাতিল’ চাওয়া হচ্ছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। এর মধ্যেই আইনটি পাশ হওয়ার সাত বছর পর বুধবার এই আইনে প্রথম রায় হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
কেআই/এইচএডি