ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব ফাইল ছবি

ঢাকা: ফরিদপুরের নগরকান্দা তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী পাগলপাড়া গ্রামের স্কুলছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

ওই মামলায় দুই আসামির জামিনের বিষয়ে আপিলের ওপর গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৮ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট নুসরাত ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

২০১৮ সালের ৭ জুন রাতে অপহরণের পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে অন্তরকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলার আসামি আজিজুল শেখ ও আশরাফ শেখের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। পরে তারা জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। বুধবার আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে জবানবন্দি নেওয়া সংশ্লিষ্ট বিচারকককে তলব করেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ২০১৮ সালের ২৮ জুন  নগরকান্দার একটি মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি অর্থাৎ তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তিনি রেকর্ড করেছেন। একটা বিকেল ৫টায়, একটা ৬টা ৪৫ মিনিটে এবং অপরটি ৭টা ৪০ মিনিটে নেন। আইনের মধ্যে বলা আছে কোনো ব্যক্তির ১৬৪ ধারার জবানবন্দির জন্য কমপক্ষে তাকে তিন ঘণ্টা সময় দিতে হবে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে এত অল্প সময়ের মধ্যে ৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দি লেখা সম্ভব না। তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়নি। যিনি জবানবন্দি দিয়েছেন তার ভাষায় লেখা হয়নি। জবানবন্দিগুলো প্রায় একই রকম। আদালত আমাদের এই সব বিষয় বিবেচনা করে আমাদের মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আগামী ৮ অক্টোবর এই মামলার জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যাখা দিতে বলেছেন, কেন তিনি এটি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।