ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: শিক্ষকসহ তিনজনের সাক্ষ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ:  শিক্ষকসহ তিনজনের সাক্ষ্য আদালত চত্বরে আসামি মজনু

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর দুই বান্ধবী।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

সাক্ষ্য দেওয়া তিনজন হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক  ও ভুক্তভোগীর দুই বান্ধবী। এদের মধ্যে এই অধ্যাপক ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের জেরা করেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ছাত্রী ধর্ষক হিসেবে মজনুকে শনাক্ত করেন। তাই সবমিলিয়ে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) ও আসামিপক্ষে রবিউল ইসলাম শুনানি করেন।

গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসা‌মি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওইদির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সি‌দ্দিক অভিযোগত্র দা‌খিল ক‌রেন। মামলা‌টি বিচা‌রের জন‌্য প্রস্তুত হওয়ায় ওইদিনই ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেট নিভানা খায়ের জে‌সি বিচারের জন্য তা সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনা‌লে বদ‌লির আদেশ দেন।

এরপর গত ১৬ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

অভিযোগপ‌ত্রে মজনুকে একমাত্র আসা‌মি করা হয়ে‌ছে। আর রাষ্ট্রপ‌ক্ষে সাক্ষী করা হ‌য়ে‌ছে ১৬ জন‌কে। ভুক্ত‌ভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে অভিযোগপ‌ত্রের স‌ঙ্গে।

এই মামলায় গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়া‌রি ফৌজদারী কার্য‌বি‌ধির ১৬৪ ধারায় আদাল‌তে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন। জবানববন্দিতে একাই ঘটনার স‌ঙ্গে জ‌ড়িত ব‌লে জানান মজনু।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

পরে রাত ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।

এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাবি উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা ঘটনার পর‌দিন শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। ধর্ষ‌ণের ঘটনার প্রতি‌বাদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাম সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।