ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, দাদা শ্বশুরের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, দাদা শ্বশুরের যাবজ্জীবন আদালত চত্বর। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: রংপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরোসিন ঢেলে মর্জিনা বেগম নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তার স্বামী মোশাররফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও সহযোগী দাদা শ্বশুর হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে উভয়কেই এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর রংপুর নগরীর মন্থনা এলাকায় স্বামী মোশারফ হোসেন যৌতুকের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার দাদা শ্বশুর হবিবর রহমান মর্জিনাকে ধরে রাখেন। মর্জিনার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ অক্টোবর মারা যায় মর্জিনা।  

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মর্জিনা জবানবন্দিতে পুলিশ ও চিকিৎসকদের জানায় তার স্বামী ও দাদা শ্বশুরের মিলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।  

এ ঘটনায় নিহত মর্জিনা খাতুনের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে স্বামী মোশাররফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও সহযোগী হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।  

স্বামী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ক্রোক পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।