সিলেট: সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলার তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। একজন এরই মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাদের তিনজনকে অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাইফুর রহমান, অর্জুন ও রবিউলকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে।
সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের মধ্যে অর্জুন লস্কর গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আদালতে অর্জুনের জবানবন্দি নিচ্ছিলেন। অপর দুই আসামিরও জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা রয়েছে বলে পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়।
এর আগে গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত। এছাড়া মামলায় গ্রেফতার আরও পাঁচ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
শনিবার (৩ অক্টোবর) মামলায় গ্রেফতার আসামি রাজন, আইনুল ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্তরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ওই তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করতে শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
একপর্যায়ে ওই নারী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২০
এনইউ/এএ