ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নর্থ সাউথের ছাত্র পায়েল হত্যা মামলার রায় ১ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২০
নর্থ সাউথের ছাত্র পায়েল হত্যা মামলার রায় ১ নভেম্বর

ঢাকা: রাজধানীর বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) বিবিএ পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার রায়ের জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রোববার (৪ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ মামলার জামিনে থাকা তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।  

২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওয়ানা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। দু’দিন পর ২৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এরপর হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে জামাল ও ফয়সাল দুই ভাই। তারা তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

গজারিয়া থানা পুলিশ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের শনিবার (৩ অক্টোবর) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হলেও পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই বিচারাধীন ছিল।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এছাড়া আসামি পক্ষে চারজন আদালতে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।