ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতন: আদালতে সাহেদের স্বীকারোক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
বেগমগঞ্জে গৃহবধূ নির্যাতন: আদালতে সাহেদের স্বীকারোক্তি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার আসামি মাঈনুদ্দিন সাহেদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
  
শনিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার ২ নম্বর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, শনিবার দুপুর ২টায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত হন।  

সন্ধ্যায় আসামি সাহেদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন। সন্ধ্যায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সাহেদকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এনিয়ে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ৫ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে আবদুর রহিম মামলার ২ নম্বর আসামি। অপর ৪ আসামি ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ, রাসেল, সাহেদ ও সোহাগের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে তাদের যুক্ত করা হয়। মামলায় গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এরআগে, সকাল ১০টায় মামলার তিন আসামি বাদল, কালাম ও সাজুকে সঙ্গে নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাড়িতে যান।  

এসময় পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন। তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে নির্যাতনে শিকার ওই নারীর বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষ এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশ ঘুরে দেখেন। তবে তারা কারও সঙ্গে কথা বলেননি।

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় ধারণ করা একটি ভিডিও রোববার (৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে পাঁচজনকে।

বাংলাদেম সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।