ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রায়হান হত্যা: ২ দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে কনস্টেবল হারুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
রায়হান হত্যা: ২ দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে কনস্টেবল হারুন আদালত চত্বরে কনস্টেবল হারুন

সিলেট: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩০) হত্যা মামলায় গ্রেফতার বরখাস্তকৃত কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে দ্বিতীয় দফা তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সিলেটের অতিরিক্ত মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হারুনকে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কনস্টেবল হারুনকে প্রথমে পাঁচ দিনের এবং পরে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আনলে তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হয়নি। ফলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার কনস্টেবল হারুনকে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সিলেটের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান। নিহত রায়হান নগরের আখালিয়া নেহারিপাড়ান মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানা হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিতে থাকে। মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন।

মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত কার্যক্রম চালায়। নিহতের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুনঃময়নাতদন্ত করা হয়। তাতে রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন মিলে ফরেনসিক রিপোর্টে।

এরইমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর পলাতক থাকলেও পুলিশ হেফাজতে থাকা কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গত ২০ অক্টোবর ও হারুনকে গত ২৪ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ২২ অক্টোবর এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়াকে বদলি করা। এছাড়া রোববার নিহত রায়হানকে ছিনতাকারী হিসেবে অভিযোগকারী শেখ সাইদুর রহমানকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।