ঢাকা: বরিশালের বানারীপাড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. শাহ আলম হাওলাদারকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার (০১ নভেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আসামির সাজা অল্টার অর্থাৎ পরিবর্তন হয়েছে। হাইকোর্ট তাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে তাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার অভিযোগ মতে, ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি বিকেলে গৃহবধূ লাইজু খানমকে (২৮) মারধর করেন স্বামী শাহ আলম। এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইজু বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ২১ জানুয়ারি শাহ আলমকে আসামি করে নিহত লাইজু খানমের ভাই দুলাল হোসেন বানারীপাড়া থানায় মামলা করেন।
শাহ আলম উপজেলার বিশারকান্দি গ্রামের আ. মান্নান হাওলাদারের ছেলে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাহিদা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে শাহ আলম হাওলাদারের পরকীয়া ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ঘটনার দিন ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী লাইজু বেগমকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শাহ আলম হাওলাদার।
২০০৯ সালের ৬ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট রায় দেন বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক।
রায়ে শাহ আলমকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাহিদা ও অপর আসামি ইউসুফ হোসেন খালাস পান।
এরপর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি শাহ আলম জেল আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১,২০২০
ইএস/এমজেএফ