ঢাকা: রাজধানীর দারুস সালাম থানার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস অফিস থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল জলিল মাতব্বরের বিচার শুরু হয়েছে।
অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে রোববার (৮ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য কারাগারে থাকা এসআই জলিলকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাবিনা ইয়াসমিন (দিপা) অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে তার আইনজীবী খলিলুর রহমান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এদিন জলিলের জামিনের আবেদন করা হলে তাও খারিজ করে দেন আদালত।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে জলিলকে আটক করা হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তাকে গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়। জানা যায়, এসআই জলিল তার বিভিন্ন জিনিসপত্র কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে পাঠিয়েছিলেন।
পার্সেলটি দারুস সালাম কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে থাকার সময় তা থেকে মাদকের গন্ধ ছড়াতে থাকে। ভেতরে নিষিদ্ধ সামগ্রী থাকতে পারে বলে সন্দেহ হওয়ায় কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে দারুস সালাম থানা পুলিশ গিয়ে পার্সেল খুলে পাঁচ হাজার ২৮৯ পিস ইয়াবা, এক কেজি ৩০০ গ্রাম গাজা, ৪০ দশমিক ৭৫ গ্রাম হেরোইন, নয় ক্যান বিয়ার, ৯৮৮ পিস ইয়াবা সাদৃশ্য সাবলেট এবং ২৭ রাউন্ড গুলি, দু’টি ম্যাগজিন ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দারুস সালাম থানায় পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) দুলাল হোসেন মামলা দু’টি দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট থানার এসআই (নিরস্ত্র) নজরুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় গত ২২ মার্চ এবং মাদক মামলায় গত ৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
কেআই/আরবি/