ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শাহীন ফকির সাক্ষী হিসেবে আংশিক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী খায়রুল আলম বলেন, মামলার নথিপত্রে জব্দ তালিকার মূলকপি, ময়নাতদন্তের চালানের কপি প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে খুঁজে না পাওয়ায় শাহীন ফকিরের সাক্ষ্যগ্রহণ বিলম্বিত হয়।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, এসব কাগজপত্র হারায়নি বা খোয়া যায়নি বরং নথিতেই ছিল। তবে ঠিকভাবে সন্নিবেশিত না থাকায় খুঁজে পেতে একটু সময় লেগেছে।
গত ৯ নভেম্বর ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস সাক্ষ্য দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিল। শাহীন ফকিরের অবশিষষ্ট জবানবন্দি ও জেরা শেষ হলে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।
গত বছর ১ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এ মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, মো. আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এর মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
কেআই/ওএইচ/