মানিকগঞ্জ: এক মণ পানিতে পাঁচ কেজি ইকোজেড ও ১০০ গ্রাম অ্যারারুট মিশিয়ে খাঁটি দুধ বলে বিক্রি করা হয়। এ ভয়াবহ তথ্যই দিলেন এমন ‘খাঁটি দুধ’ বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৭০ কেজি দুধসহ আব্দুর রাজ্জাককে আটক করেন। এসময় তিনি ভেজাল দুধ তৈরির কথা স্বীকার করায় তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আব্দুর রাজ্জাক ফুকুরহাটি গ্রামের বিষুরুদ্দিনের ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এ দণ্ড দেন।
এসময় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন ঢাকায় আট থেকে নয় মণ দুধ বিক্রি করি। বাজার থেকে দুধ কিনতে হয় ৭০- ৮০ টাকা লিটার। কিন্তু ঢাকার ব্যবসায়ীরা ৫০ টাকা করে দাম দেন। ৮০ টাকার দুধ ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এতে পোষায় না। তাই ৪০ কেজির দুধের মধ্যে ১৫ কেজি নকল দুধ মিশিয়ে ঢাকায় পাঠাই।
তিনি আরও বলেন, এক মণ পানির মধ্যে পাঁচ কেজি ইকোজেড ও ১০০ গ্রাম অ্যারারুট মেশালে অবিকল দুধের মতো হয়ে যায়। এভাবে নকল দুধ তৈরি করি। তবে এ ব্যবসা শুধু আমি করি না, যারা ঢাকায় দুধ দেয়, তারা সবাই করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আব্দুর রাজ্জাককে আটক করার সময় নয় গ্যালন দুধ ও দুই কেজি অ্যারারুট পাওডার জব্দ করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য আইনের ২৫ ধারায় ওই ব্যবসায়ীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার কাছ থেকে জব্দ করা ভেজাল দুধ নষ্ট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
এসআই