সিলেট: সিলেটে হত্যা চাঞ্চল্যকর কিশোর ফরহাদ হোসেন (১৬) হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরো একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরিফ উদ্দিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার রনাগলপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ (২০), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার বাজার উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের শৈলেন্দ্র দাসের ছেলে অমল কুমার দাস (২৮), ঢাকা জেলার কদমতলা থানার শ্যামপুর পালপাড়া গ্রামের হরিপদ দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস (২৮)। রায় ঘোষণাকালে তিন আসামিই পলতাক ছিলেন।
এছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছে সিলেট নগরের বিমানবন্দর থানার খাসদবির এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফরহাদ আহমদ (১৮)। রায় ঘোষণাকালে তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৬ আগস্ট মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৃশংসভাবে খুন হন জামালপুর জেলার সরিষা বাড়ি থানার বাইশি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেন। সিলেট নগরের মাছুদিঘিরপার প্রবাহ-৬০ নং বাসার কলোনীর একটি রুমে এ ঘটনা ঘটে।
খুনের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার লামাবাজার ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানার হত্যা (মামলা নং ৯(৯)১২ ইং) দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই রকিবুল হক ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট (নং ১৮) আদালতে দাখিল করেন। ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে ৪ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
দীর্ঘ শুনানিকালে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার ৩০২ ধারায় তিনজনকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন করাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মফুর আলী ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট লাভলী আক্তার, অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
এনইউ/এএটি