ঢাকা: বাড্ডা থানার মাদক মামলায় দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
এরপর তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী মাদক আইনের এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
গোল্ডেন মনিরকে তিন মামলায় গত ২২ নভেম্বর প্রথম দফায় ১৮ দিন এবং গত ৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৯ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষে এখন তিনি কারাগারে আছেন।
গত ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া, তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দু’টি বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তার 'অটো কার সিলেকশন' নামের গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারী। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান 'গোল্ডেন মনির' হিসেবে।
গত ২১ নভেম্বর আটক করার পর র্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় র্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে।
বাংলদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/