ঢাকা: প্রায় ১৮ বছর আগে নেত্রকোনায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক। আসামিপক্ষে ছিলেন একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ, এএম মাহবুব উদ্দিন, বজলুল কবির, আফিল উদ্দিন, সাকিব মাহবুব ও সাইফুর রহমান রাহি এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।
একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সব আসামিদের হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন।
পরে সাকিব মাহবুব বলেন, যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত না পাওয়ায় আদালত আসমিদের খালাস দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন নেত্রকোনার বিচারিক আদালত।
আসামিরা হলেন-জেলার পূর্বধলা উপজেলার কালডোয়ার গ্রামের মোকশেদ আলীর ছেলে শামীম, মন্তোষ রংদির ছেলে ভিকন ও টিকন, মৃত নরেন্দ্র শেমার ছেলে তাপস, বুধি গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রূপ মিয়া।
আইনজীবীরা জানান, জেলার সদর উপজেলার বাহাদুর গ্রামের এক কিশোরী ২০০২ সালের ২০ জুলাই মা ও বোন জামাইয়ের সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার সাত্যাটি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে রওয়ানা হন।
পূর্বধলার কুমারকালী ব্রিজে পৌঁছালে আসামিরা রিকশার গতিরোধ করে ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী নির্জনস্থানে নিয়ে যায়। এসময় মা ও বোন জামাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যেতে বাধ্য করে এবং ওই কিশোরীকে নির্জনস্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরী মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আসামিরা আপিল করে এবং ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
সোমবার হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে আসামিদের আপিল মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ রায়ের বিষয়ে আপিল করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নোট দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
ইএস/এএটি