ঢাকা: ভ্রূণ হত্যা, নির্যাতন, যৌতুকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে রুল জারি করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নাজমুস সাকিবকে জামিন দিয়েছেন।
গত ১৮ আগস্ট বাবা-মাসহ এএসপি নাজমুস সাকিবকে হাইকোর্ট চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। চার সপ্তাহ পর তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে অনুসারে ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ করেন। আদালত বাবা মাকে জামিন দিলেও নাজমুস সাকিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
>> যৌতুক ও ভ্রূণ হত্যা: এএসপি নাজমুস সাকিব কারাগারে
গত ৪ জুন রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন।
ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
ইএস/এমজেএফ