ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ও পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও একজন।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
এদিন সাক্ষ্য দেন নাসির উদ্দিন বাবু। এ নিয়ে মামলায় ১৭ সাক্ষীর ১০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ১৮ মার্চ এ মামলায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত। গত ১৯ আগস্ট এ মামলার বাদী দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত বছরের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি গত বছর ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর গত বছর ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা মানিলন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর গত ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
কেআই/আরবি