ঢাকা: এক আইনজীবীকে আসামির লক আপে দুই ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগে ঢাকার একজন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ আইনজীবী ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের এজলাস কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে তালা দিয়ে দেন।
এরপর আইনজীবীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সিএমএম আদালতের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। সকাল পৌনে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল। ওই বিচারকের অপসারণ চেয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। সিএমএম আদালতের বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে। আদালতের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার লক আপে আটকে রাখার অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী আইনজীবী। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
ওই আইনজীবীর নাম রুবেল আহমেদ ভুঞা। আবেদনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমি ওই আদালতে মামলা পরিচালনা করতে যাই। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন বলে জানান। কিন্তু ১১টার দিকেও বিচারক না ওঠায় বিষয়টি পেশকারের কাছে জানতে চাই। পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক আমার মামলা না শুনে পরে আসতে বলেন। পরে গেলে আমাকে দুই ঘণ্টা লক আপে আটকে রাখেন এবং বলেন, আমার সনদ বাতিল করে দেবেন এবং সব ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দেবেন, আমার মামলা না শোনার জন্য। আমি বিষয়টিতে চরম অপমান বোধ করছি এবং উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
তবে মঙ্গলবার রাতে অবশ্য ওই আইনজীবী বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতারা ও সিনিয়র আইনজীবীরা মিলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। ওই বিচারক তার কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
কেআই/এসআই