কক্সবাজার: আইনি জটিলতার কারণে ২৫ দিন মর্গে পড়ে থাকার পর অবশেষে চাকমা কিশোরীর মরদেহ বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করে তদন্তকারি সংস্থা র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ এর উপ পরিদির্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্জুন চৌধুরী জানান, এই মরদেহটি দুটি পক্ষ দাবি করে আসছিল। যে কারণে এটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পরে এ বিষয়টি তদন্তের জন্য র্যাবকে নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে বাবা-মায়ের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে প্রমাণিত হয় নিহত লাকিংমে চাকমার বয়স ১৬ বছর। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আইন মতে আদালত তার মরদেহটি পিতা-মাতার কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেন।
লাকিংমের পরিবারের অভিযোগ, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী চাকমাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে লাকিংমে চাকমাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় ঘরে বাবা-মা কেউ ছিলেন না। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করতে গেলে তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ থানায় মামলা নেননি। পরে ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরোকে (পিবিআই)নির্দেশ দেন। কিন্তু পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে অপহরণ নয় মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দেয়।
জানা গেছে, এর মধ্যে গত ১০ ডিসেম্বর লাকিংমে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। এর পর তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে লাকিংমের বাবা-মা মরদেহ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, এই মরদেহ নেওয়ার জন্য স্বামী দাবি করে একজন আবেদন করেছে। এটা নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।
লাকিংমের পরিবারের দাবি, আতাউল্লাহ নাবালক লাকিংমে চাকমাকে অপহরণ করে পরে হত্যা করেছে।
মৃত্যুর ২৮ দিন আগে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন লাকিংমে চাকমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
এসবি/এইচএডি