ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘ধর্ষণের ফলেই মৃত্যু আনুশকার’, স্বীকারোক্তি দিহানের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২১
‘ধর্ষণের ফলেই মৃত্যু আনুশকার’, স্বীকারোক্তি দিহানের

ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানের বন্ধুর বাসায় গিয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের মৃত্যু ধর্ষণের কারণেই হয়েছে। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে মামলার একমাত্র আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহান বন্ধুদের ডেকে তাদের সহযোগিতায় আনুশকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দিহান একথা বলেছে।  

শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।  

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  

জবানবন্দিতে দিহান জানান, আনুশকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরেই আনুশকা তার বাসায় যায় এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।  

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আসামির জবানবন্দির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকের ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে পারিপার্শ্বিক বিষয় ও জবানবন্দির বর্ণনা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।  

এ বিষয়ে সিএমএম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, এই আসামি নিজেকে সম্পৃক্ত করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মামলার তদন্তে বড় অগ্রগতি হলো। আশা করছি দ্রুতই তদন্ত শেষ করে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করবে এবং বিচারে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।  

এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাকে একই বিচারকের আদালতে নেওয়া হয়। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানকে। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।  

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় আনুশকার প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানসহ চারজনকে আটক করেছে কলাবাগান থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধু দিহানকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২১
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।