ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাসায় প্রবেশ করে ব্লগার নিলদ্রী চাটার্জি ওরফে নিলয়কে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক আসামি মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সেই পরোয়ানা তামিল বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। তবে মেজর জিয়াকে গ্রেফতার করতে না পারায় আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। ক্রোকী পরোয়না তামিলের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেস্বর ডিবির রমনা জোনাল টিমের তদন্ত কর্মকর্তা সিএমএম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডের জড়িত ১৩ আসামির ১২ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে। শুধু বহিষ্কৃত মেজর জিয়াউল হক পলাতক।
এ মামলায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মাসুম রানা, সাদ আল নাহিন, কাওসার হোসেন খাঁন, কামাল হোসেন সরদার, মাওলানা মুফতী আ. গফ্ফার, মর্তুজা ফয়সলে সাব্বির, তারেকুল আলম ওরফে তারেক, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাহাব, মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত রহমান ও শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের।
২০১৫ সালের ৭ আগস্ট বেলা ১ সোয়া একটার দিকে অজ্ঞাতনামা তিন-চারজন ব্যক্তি বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে ব্লগার নিলদ্রী চাটার্জি ওরফে নিলয়কে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পরদিনই মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি মামলাটি তদন্তকালে ১২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামিদের মধ্যে খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল ও শেখ আব্দুল্লাহ আদালতের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতার আসামিরা আদালতে জবানবন্দিতে ঘটনার মূল হোতা আসামি মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকের নাম প্রকাশ করে এবং নিজেদের জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
কেআই/আরআইএস