ঢাকা: লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীনের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে এ আর্জি জানান।
মামলাটিতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম হেলাল। এরপর আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারুক আহাম্মেদ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। তবে তার বক্তব্য উপস্থাপন শেষ হয়নি। তাই আদালত আগামী ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। সবশেষ জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান। হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর পর ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
ঘটনার আট বছর পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি পৃথক মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। এর মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। তারা দু’জনই ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। আর হাফিজ মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
কেআই/এসআই