বরিশাল: বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ শেষে ধর্ষণ করতে এক হাতুড়ে ডাক্তারকে সহায়তা করায় মালেকা নামে একজন নারীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত মালেকা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাজীরচর এলাকার কালাম মৃধার স্ত্রী। মালেকা ও তার স্বামীসহ অপহরণকারী ধর্ষক ৬০ বছর বয়সী হাতুড়ে ডাক্তার রফিকুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু ডাক্তারের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২২ জুন মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন একই এলাকার বাসিন্দা ফারুক মোল্লা।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন বাচ্চু ডাক্তার বৃদ্ধ হলেও একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। চিকিৎসার নামে বিভিন্ন কিশোরী ও নারীদের ইজ্জত লুটে নেওয়া ছিল তার নেশা। বাদীর মেয়ের বয়স ১২ বছর। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। স্কুলে যাওয়া আসার সময় বাচ্চু তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। ওই স্কুলছাত্রী তার কথায় রাজি না হলে ২০১৩ সালের ১৯ জুন বিকেলে মালেকার সহায়তায় বাচ্চু ওই স্কুলছাত্রীকে স্পিড বোট যোগে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেহেন্দীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুজ্জামান আসামি বাচ্চু ও মালেকার বিরুদ্ধে একই সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত বাচ্চু ও মালেকার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। বাচ্চুর বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়। বাচ্চুর মৃত্যুতে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মালেকাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত মালেকাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এমএস/আরআইএস