ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কুড়িগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
কুড়িগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রাম: যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিংকী খাতুন শিল্পীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী রাসেল বাবুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাসেল বাবু জামিনে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত দণ্ডাদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন হাতেম আলীর কন্যা পিংকী খাতুনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাঁশজানি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সোলায়মান আলীর ২০১১ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় সালিশের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর অভিভাবকদের না জানিয়ে পিংকী খাতুন  নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সাইফুর রহমানের ছেলে রাসেল বাবুর সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। দেড় বছর সংসার করার পর যৌতুকের জন্য রাসেল বাবু স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে ৬ মাসের গর্ভবতী পিংকী খাতুন বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। সেখানে অবস্থানকালীন পিংকী খাতুনকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে পিংকী খাতুন রাজি না হওয়ায় বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতে গত ২৭/০৫/২০১১ তারিখ দুপুরে স্ত্রীর মুখে গামছা বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের ভেতর ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় রাসেল বাবু। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামির অনুপস্থিতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আসামি রাসেল বাবু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিল। তার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ১০ বছরের শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।