ঢাকা: সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দু্ইজন।
তারা হলেন-একটি ডেভেলপার কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. সোহেল এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কর কমিশনার নাদেরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।
পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে অভিযুক্ত ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
এই মামলার আসামিরা হলেন-ডিআইজি মিজানুর রহমান, মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। এর মধ্যে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক।
কারাগারে থাকা ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৯ সালের ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
গত বছর ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করলে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় ডিআইজি মিজান। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়। সেই মামলাটি বিচারের জন্য ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
কেআই/এএটি