বরিশাল: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরিশাল সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার (কম্পোজিটর) আবু বকর সিদ্দিকীকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবু বকর সিদ্দিকী মাদারীপুর জেলার শিবচর সন্ন্যাসির চরের মৃত আব্দুল কাদের মাস্টারের ছেলে।
আবু বকর সিদ্দিকী তার মূল কর্মস্থল ঢাকা তেজগাঁও ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে বরিশাল সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর বাকেরগঞ্জ বোয়ালিয়ার সৌদি প্রবাসী মাসুদ আলম খান নগরীর রুপাতলী এলাকায় ৭.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। প্রবাসীর ভাইয়ের নির্দেশে আব্দুল মন্নান খান জমির নামপত্তন করতে বরিশাল সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দেন। ওই বছর ১২ ডিসেম্বর শুনানি হয়।
পেশকার আবু বকর সিদ্দিকী শুনানির রায়ের কপি দিতে আব্দুল মন্নান খানের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আব্দুল মন্নান ১০ হাজার টাকায় দফারফা করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনে আব্দুল মন্নান খান অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কর্মকর্তারা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে দুদকের স্বাক্ষর করা ১০ হাজার টাকাসহ ধরা পরেন আবু বকর সিদ্দিকী।
১৪ ডিসেম্বর আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন উপ সহকারী পরিচালক আল আমিন।
সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এমএস/আরএ