ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাভারে স্কুলছাত্রী হত্যা: আসামি সাকিব কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
সাভারে স্কুলছাত্রী হত্যা: আসামি সাকিব কারাগারে

ঢাকা: সাভারে দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলা রায়কে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. সাকিব হোসেন নামে আরেক আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহার তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।



এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নির্মল কুমার দাস একদিনের রিমান্ড শেষে সাকিবকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট ইস্পাহান মির্জা, ওবায়দুল হক চৌধুরী জামিন আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে সাকিবকে সাভার পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাকিব সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিরুর ছেলে ও পৌরসভার কাজী মুকমাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলাটিতে প্রধান আসামি মিজানুর রহমান, তার সহযোগী সেলিম পহলান কারাগারে আছেন। মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন নাহার সিদ্দিকা সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে জানা যায়।

গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় গত ২১ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।