ঢাকা: রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
একইদিনে রিমান্ডে থাকা অপর আসামি নুহাত আলম তাফসীরকে (২১) আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি এ দু’জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহত ওই তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তার বন্ধুরা উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে মদ্যপান করেন।
অতিরিক্ত মদ্যপানে তাদের মধ্যে এক তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসায় চলে যান। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণীও অসুস্থ হয়ে পড়লে আরও দুই বন্ধু মিলে রাইড শেয়ারিং উবারের একটি গাড়িতে করে মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় যান।
ওই বাসায় যাওয়ার পর তরুণীর সঙ্গে তার বন্ধুর শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে ওই তরুণী আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি না করায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বালাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
কেআই/আরবি