ঢাকা: রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আসামি সাফায়েত জামিলের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল হক আসামিকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (ডিউব্লিউ) ইস্যুসহ রিমান্ড আবেদন করেন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি ডিউব্লিউ ইস্যু করে আসামির রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাফায়েত জামিল নামে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলাটিতে গত ৩১ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১) এর পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে মর্তুজা রায়হান ৬ ফেব্রুয়ারি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একইদিনে অপর আসামি তফসিরকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর নেহা নামে নিহতের এক বান্ধবীকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুস্যুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদ্যপান করান।
মামলার এজহারে আরও বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
কেআই/ওএইচ/